, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

অবশেষে কমল আলুর দাম

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

অবশেষে কমল আলুর দাম

আলুর দাম অবশেষে কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পুরাতন আলুর দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে সরকার নির্ধারিত ৩৫ টাকায় নেমে এসেছে। বাজারে নতুন আলুর সরবরাহ বাড়ায় এ দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।


এদিকে শীতের সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মুলা, শালগমের সরবরাহ বাড়ায় তিন সপ্তাহ ধরে রাজধানীর বাজারগুলোতে তুলনামূলক কম দামে সবজি পাওয়া যাচ্ছে। বেশিরভাগ সবজির কেজি এখন ৩০ টাকা মধ্যে। সবজির দাম স্বস্তি দিলেও নতুন করে বেড়েছে ডিমের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে ডিমের দাম বেড়েছে ৫ টাকা।


শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুরাতন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আর নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা।


এর আগে আলুর অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর দুই দফা আলুর দাম বেঁধে দেয় সরকার। সর্বশেষ ৭ অক্টোবর খুচরা পর্যায়ে আলুর কেজি ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। তবে সরকারের এ নির্দেশনা গত এক মাস বাজারে বাস্তবায়ন করতে দেখা যায়নি। অবশ্য বাজারে নতুন আলু আসার অবশেষে এখন দাম কমল।


আলুর দামের বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী রইসউদ্দিন বলেন, বাজারে এখন নতুন আলুর সরবরাহ বেড়েছে। সাইজও মোটামুটি ভালো। ফলে নতুন আলুর প্রতি ক্রেতাদের ঝোঁক বেড়েছে। এ কারণে দাম কমেছে পুরাতন আলুর।


তিনি বলেন, নতুন আলুর কেজি এখন ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কিছু দিন আগে এর চেয়ে ছোট আলুর কেজি ১০০ টাকা বিক্রি করেছি। কয়েক দিনের মধ্যে আলুর দাম আরও কমে যাবে বলে আমাদের ধারণা।



আলুর দাম কমার মধ্যে নতুন করে বেড়েছে ডিমের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে ৫ টাকা বেড়ে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা।


ডিমের দাম বাড়ার বিষয়ে মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, বাজারে ডিমের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। এ কারণে দাম বেড়েছে। তবে আমাদের হিসেবে এখনো ডিম কম দামে পাওয়া যাচ্ছে।


এদিকে সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের মতো শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। মুলা ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি পাওয়া যাচ্ছে। ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বড় লাউ। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি।


এছাড়া বেগুনের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, উস্তের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।


বেশিরভাগ সবজির দাম কমলেও এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পাকা টমেটো ও বরবটি। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আর বরবটি গত সপ্তাহের মতো ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।


এদিকে পুরোপুরি স্বস্তি না ফিরলেও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ গত সপ্তাহের মতো ৩০ থেকে ৪০ কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। কাঁচামরিচ আগের সপ্তাহের মতো এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।


সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী মো. আলামিন ব্যাপারি বলেন, বাজারে এখন শীতের সবজির অভাব নেই। তাই ক্রেতারাও কম দামে সব ধরনের সবজি কিনতে পারছেন। সহসা সবজির দাম বাড়ার সম্ভাবনা কম। বরং সামনে কিছু সবজির দাম আরও কমবে। নতুন পাকা টমেটো বাজারে আসলে, তখন সব ধরনের সবজির দাম আরও এক দফা কমবে।


রামপুরার ব্যবসায়ী আলম শেখ বলেন, সবজির দাম নিয়ে এখন আর অভিযোগ নেই। আগে যারা এক পোয়া শিম কিনতো এখন তারা কেজি কেজি শিম কিনছে। বাজারে নতুন গাজর আসা শুরু হয়ে গেছে। কিছুদিন পর পাকা টমেটো চলে আসবে। তখন ১০০ টাকার পাকা টমেটো ২০ টাকায় পাওয়া যাবে।

  • সর্বশেষ - অর্থ-বাণিজ্য