রাজধানীর
কুড়িল চৌরাস্তায় ছুরিকাঘাতে আহত কানিজ ফাতেমা (২৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায়
মারা গেছেন । শুক্রবার রাত ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড়
পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ উঠেছে, কানিজকে তাঁর
স্বামী সাফকাত ছুরিকাঘাত করেছেন।
পরিবার সূত্র জানায়, কানিজ একটি
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বরিশালের
বাকেরগঞ্জ উপজেলার মধ্য কাটাদিয়া এলাকায়।
কানিজ ফাতেমার ছোট বোন
আয়শা আক্তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, কুড়িল
চৌরাস্তা এলাকায় সাফকাতদের নিজেদের বাড়ি। ওই বাড়ির পাশের বাসায় তাঁরা ভাড়া
থাকতেন। তখনই কানিজ ও সাফকাতের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই মাস আগে
তাঁরা নিজেরাই বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই নানা সমস্যা শুরু হয়। প্রায়ই
তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো।
কানিজের বাবা শাহ আলম হাওলাদার একটি
গার্মেন্টসে চাকরি করেন। শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে তিনি জানান, স্বামীর
অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কানিজ এক সপ্তাহ আগে বাবার বাসায় ফিরে আসেন।
সাফকাত বুধবার কানিজকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যান। এরপর থেকে কানিজের কোনো
খোঁজ মিলছিল না। বৃহস্পতিবার কানিজের মা ও খালা তাঁর খোঁজে গেলে কানিজকে
তাঁরা অনেকটা নিস্তেজ অবস্থায় পান। সেসময় কানিজ তাঁর মা ও খালাকে জানান,
কফির সঙ্গে কিছু একটা মিশিয়ে তাঁকে খাওয়ানো হয়েছে। এরপর কানিজের মা ও খালা
মিলে তাঁকে বাসায় ফিরিয়ে নিয়ে আসছিলেন। পথে কুড়িল চৌরাস্তা এলাকায় সাফকাত
এসে তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন। আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলেই সাফকাতকে আটক করে
মারধর করে। এরপর এলাকার ছেলে বলে ছেড়ে দেয়।
ভাটারা থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান রাতে জাগ্রত বাংলাকে জানান, পুরো ঘটনাটি তাঁরা এখনো জানেন না। তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার জের ধরে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন। ভুক্তভোগী বা অন্য কেউ এই ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সব তথ্য জানার পর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।