, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

হাত-পা বাঁধা রক্তাক্ত শিশুটির মরদেহ পড়ে ছিল মেঝেতে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

হাত-পা বাঁধা রক্তাক্ত শিশুটির মরদেহ পড়ে ছিল মেঝেতে

ময়মনসিংহের ভালুকায় রায়না আক্তার রিমি (৫) নামের এক শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে অজ্ঞান অবস্থায় শিশুটির মামাকে আটক করা হয়েছে। রোববার রাতে উপজেলার ভরাডোবা গ্রামের ক্লাবের বাজার বানিয়া ভিটা এলাকার গারোর টেক নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রায়না ওই এলাকার রাসেল আহাম্মেদের মেয়ে।

স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে রায়না নিজ ঘরে ছবি আঁকছিল। পরে মামা আশাদুল ইসলাম আশু রায়নাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী নিজ বাড়ির দিকে আসে। সন্ধ্যায় রায়নাকে খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যাচ্ছিল না। সন্ধ্যার পর একপর্যায়ে রায়নাকে মামা আশাদুল ইসলাম আশুর ঘরের মেঝেতে হাত-পা বাঁধা রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি কোদাল উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার পর ওই এলাকার ইসমাইল হোসেন গেন্দুর ছেলে আসাদুল ইসলাম আশুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত ১১টার দিকে উপজেলার সিডস্টোর বাজার মসজিদের সামনে থেকে অজ্ঞান অবস্থায় আশুকে আটক করে পুলিশ।

তবে আশাদুল ইসলাম আশুর পরিবারের দাবি, আশাদুল কিছুদিন যাবত মানসিকভাবে অসুস্থ। এলাকাবাসী জানান, বাড়ির পাশের রাস্তার জমি নিয়ে আশাদুল ইসলাম ও তার বোন জামাই রাসেলদের বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জের ধরেই ঘটতে পারে এই হত্যাকাণ্ড।

নিহত রায়নার পরিবার জানায়, আশাদুল ইসলামকে মানসিক অসুস্থতার দাবি করে তাকে খুনের দায় থেকে বাঁচানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আশাদুল ইসলাম রায়নাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। তারা হত্যাকাণ্ডের শাস্তির দাবি জানান।


ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। খুনের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।'

  • সর্বশেষ - মহানগর