, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

অটোরিকশা চালক হত্যা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ৭ আসামি গ্রেফতার

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

অটোরিকশা চালক হত্যা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ৭ আসামি গ্রেফতার

ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা অটোরিকশা চালক খুনের ঘটনায় সাত আসামিকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ মাসুম আহমেদ ভুঁঞা।

গ্রেফতাররা হলেন, জেলার তারাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা আলমগীর (২০), রাকিবুল হাসান তপু (৩০), রাকিব হাসান ওরফে রাকিবুল ইসলাম (২১), টাঙ্গাইল কালিহাতী উপজেলার রামপুর গ্রামের আরাফাত হোসেন বাবু (২৭)। এই চারজন হত্যার সাথে জড়িত। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে ছিনতাই করা অটোরিকশা ক্রয়-বিক্রয়ে জড়িত আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন ফরহাদ (৩১), সুমন শেখ (৩৫) আলম (৪০)।

এর মধ্যে চারজন সরাসরি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং বাকি তিন জন ছিনতাই করা অটোরিকশা ক্রয় বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত বলে জানায় পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে মাসুম আহমেদ ভুঁঞা বলেন, শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে পার্ক সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় হাসেম মিয়া (২৯) নামে এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের বড় ভাই লিলু মিয়া বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং নগরীর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে গ্রেফতার করে।

তিনি আরও জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে নগরীর স্মৃতিসৌধের মাঠে বসে একটি অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন আসামি আলমগীর, রাকিবুল হাসান তপু, রাকিবুল, আরাফাত হোসেন বাবু ও পলাতক অন্য একজন। পরে পরিকল্পনামতে রাত ১২টার সময় তারা পাটগুদাম ব্রীজমোড় থেকে নিহত হাসেম মিয়ার অটোরিকসা ভাড়া করে সার্কিট হাউজ মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে তারা দাঁড়িয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে অটোরিকশা চালক হাসেম মিয়াকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে নিয়ে যায়। এ সময় কোমরে বেল্ট দিয়ে আসামি রবিন নিহতের পা এবং গায়ের গেঞ্জি দিয়ে আরাফাত হোসেন বাবু নিহতের হাত বেঁধে ফেলে। এসময় নিহত হাসেম মিয়া ডাক-চিৎকারের চেষ্টা করলে আসামি আরাফাত হোসেন বাবু হাসেমের গায়ে পরিহিত চাদর দিয়ে তার মুখ বেঁধে সবাই মিলে তাকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরে রাখে। এরপর আসামি রবিন চালক হাসেম মিয়ার বুকে ও পেটে একাধিক ছুরিকাঘাত করে অটোরিকশাটি নিয়ে চলে যায়। পরে ওইদিন রাতেই তারা পাটগুদাম ব্রীজমোড়ে গিয়ে আসামি আলমের কাছে ৩৪ হাজার টাকায় অটোরিকশা বিক্রি করে খুনিরা টাকা ভাগাভাগি করে নিয়ে যায়।

গ্রেফতার আসামি আলমগীরের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা, রাকিবুল হাসান তপুর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা, রাকিব হাসান ওরফে রাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি চুরি এবং আরাফাত হোসেন বাবুর বিরুদ্ধে একটি হত্যা ও একটি চুরি মামলা রয়েছে। এদের মধ্যে আসামি রাকিবুল ইসলাম তপু নগরীর চরপাড়া মেডিকেলের সামনে খুন হওয়া শরিফ হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামী। সে ওই মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে ১৯ মাস কারাভোগ করে বিগত দুই মাস আগে জামিনে কারামুক্ত হন।

পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। গ্রেফতার সাতজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

  • সর্বশেষ - মহানগর