, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

মৃত্যু নিবন্ধন করতেও ২০০ টাকা নেন ইউপি সচিব!

মৃত্যু নিবন্ধন করতেও ২০০ টাকা নেন ইউপি সচিব!

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বওলা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নিলুফা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করার জন্য জনপ্রতি দুইশত টাকা করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।


সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দেশে শিশু জন্মের ৪৫ দিন পর্যন্ত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে কোনো ফি নেয়া হয় না। ৪৫ দিন বয়সের পর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত ২৫ টাকা এবং ৫ বছরের ওপরে সব বয়সীদের ৫০ টাকার বেশি ফি গ্রহণ করা যাবে না। কিন্তু নিলুফা ইয়াসমিন সরকারের এই নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেই নতুন নিয়ম করেছেন। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন জনপ্রতি ২০০ টাকা করে নিচ্ছেন তিনি।


ইউনিয়নের বওলা গ্রামের বাসিন্দা মো. আবুল বাসার বলেন, ‘আমার পরিবারের চারজন সদস্যের জন্ম নিবন্ধন করতে গেলে ইউপি সচিব জনপ্রতি ২০০ টাকা করে নিয়েছেন। মেম্বারের কাছে গিয়েছিলাম জন্ম নিবন্ধনের জন্য। মেম্বার বলেছিলেন, সচিবের কাছে গিয়ে ২৫ টাকা করে জমা দিলেই হবে। কিন্তু সচিব ২০০ টাকা করে নিলেন। তবে, কিনি আমাকে একশ টাকা ছাড় দিয়েছেন।’


একই অভিযোগ করেন বওলা গ্রামের সাহেরা খাতুন, মরম আলী খান ও রামসোনা গ্রামের আ. গফুর। তাদের কাছ থেকে নিবন্ধনপ্রতি ২০০ টাকা করে নিয়েছেন ইউপি সচিব নিলুফা ইয়াসমিন।


সাধারণ মানুষ নয়, ইউপি সদস্যদের কাছ থেকেও তার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য জহিরুজ্জামান মুন্না একটি মৃত্যু সনদের ৩০০ টাকা দিয়েছেন। তবে, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। সচিব তার নিজের তৈরি নিয়মেই জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করছেন।


এ বিষয় বওলা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ‘এগুলো সব মিথ্যা কথা। আমাকে ফাঁসানোর জন্যই এসব অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে।’


বওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পর সচিবকে সতর্কও করা হয়েছে। এবার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’


এ বিষয়ে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কোনো নিয়ম নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

  • সর্বশেষ - ময়মনসিংহ অঞ্চল