, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

এক দিনে সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বেড়েছে ৯ সেন্টিমিটার

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

এক দিনে সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বেড়েছে ৯ সেন্টিমিটার

ভারী বর্ষণ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা এক দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ৯ সেন্টিমিটার। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, আর দুদিন পরই কমতে শুরু করবে যমুনার পানি। 

এদিকে অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও চলন বিলের পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত রয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার অর্ধ লাখেরও বেশি মানুষ, তলিয়ে গেছে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল।

অন্যদিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদফতরের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্য জেলা শহর ও পাঁচটি উপজেলায় মজুদ বাড়িয়ে ৭২১ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে সাত লাখ নগদ টাকা করা হয়েছে। শাহজাদপুরের নদীভাঙন ও সদরের নিম্নাঞ্চল এলাকায় শুরু করা হয়েছে ত্রাণ বিতরণ।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন ও সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আব্দুল লতিফও পানি বৃদ্ধির বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি অন্তত আরও দুদিন বাড়বে।

গত ১৪ আগস্ট থেকে শুরু করে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আরও কিছু নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি উঠায় বিপাকে পড়েছেন বন্যাদুর্গতরা। অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু রাস্তা বা স্কুল -মাদরাসার মাঠে আশ্রয় নিয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত কয়েক দিন যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, বন্যা পূর্ভাবাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অন্তত আরও দুদিন অব্যাহত থাকবে। দুদিন পর থেকে পানি কমতে শুরু করবে। তবে পানি বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত বন্যার তেমন কোনো ঝুঁকির পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সদর ও শাহজাদপুরের কিছু এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছি। জেলার পাঁচটি উপজেলায় ২০০ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তারা সেটা তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিতরণ শুরু করেছেন। এ ছাড়া জেলায় ৭২১ মেট্রিক টন চাল ও আড়াই লাখ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে।

  • সর্বশেষ - অন্যান্য